
মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গ্রামের তাজুর ছেলে বিল্লাল (৪০)ও তার পুত্র রহিম(২০),মাদক ব্যবসা করে নিজেরা অবৈধভাবে টাকার মালিক হলেও এলাকার আইনশৃঙ্খলা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
মাদক সেবিদের আনাগোনা বেশি হওয়ার কারণে বেড়েছে চুরি সহ নানান রকম সহিংসতার ঘটনা। পদ্মা ও গড়াই নদীর মোহনায় অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে অবস্থিত হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গ্রাম,শান্তিপ্রিয় এলাকাটিতে এক সময় ছিলো না কোনো মাদকের ব্যাবসা।
কিন্তু বিগত সরকারের সময়ে কুষ্টিয়া শহর - হরিপুর সংযোগ সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই বদলে গেছে এলাকার চালচিত্র,শহর সন্নিকট হওয়ায় বাইরের মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে,সেই সাথে বাড়ে শহরের সন্ত্রাসী ও মাদকসেবিদের আনাগোনা,এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আশ্রয়-প্রচ্ছয়ে গড়ে উঠে বিশাল মাদক সিন্ডিকেট। এখানকার ভৌগোলিক অবস্থানই মাদক ব্যবসায়ীদের অনুকূল,কেননা কুষ্টিয়া শহর থেকে একটু দুরে বিধায় এখানে প্রশাসনিক নজরদারি কম,স্থানীয় মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সবসময়ই জিম্মি থাকে ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা সহজেই কিছু মানুষকে ম্যানেজ করেই নির্বিঘ্নে মাদকের রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,বিল্লাল প্রায় ১০/১১বছর আগে থেকেই মাদক ব্যাবসা শুরু করে,সে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করে বর্তমানে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন,মাদকের ব্যাবসায় অনেক লাভজনক হওয়ায় সঙ্গে নিয়েছেন ছেলে রাহিমকে,এভাবেই শালদাহ গ্রামে পিতা-পুত্রের অবৈধ মাদক ব্যাবসা চলছে। স্থানীয় অধিকাংশ জনসাধারণ মাদকসেবি না হলেও বহিরাগত মাদকসেবিদের আনাগোনা চলে প্রতিনিয়ত,ফলে কুষ্টিয়ার একটি দর্শনীয় স্থান পদ্মা-গড়াই মোহনায় আগত দর্শনার্থীরা সহ স্থানীয় জনগণ চুরি-ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে এসব মাদকসেবিদের দ্বারা।এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় অধিবাসীরা বলেন,বিল্লাল-রহিমের মাদক ব্যাবসার কারণে শালদাহ এলাকায় নতুন যুব সমাজ ঝুঁকে পড়ছে ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদকের দিকে তা ছাড়াও বাইরে থেকে মাদকসেবারা এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে,বেড়ে যাচ্ছে চুরি ও ছিনতায়,এসময় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুস্তাক হোসেন মাসুদ ও ইউপি সদস্য রাজু আহম্মদ এর কাছে পিতা-পুত্রের মাদক ব্যাবসার কথা জানতে চাইলে তারা উভয়ই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে,মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। কেন এমন অবস্থা জানতে চাইলে তারা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের গোষ্ঠীগত শক্তি ও কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আশ্রয় -প্রচ্ছয় দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস দেখায় না কেউ। অন্য দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন,আমরা নিয়মিত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি,গত কয়েকদিন আগেও ৩জন মাদক ব্যবসায়ীকে হরিপুর থেকে আটক করা হয়েছে। এদের বিষয়ও খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুষ্টিয়া জেলার মাদকের বিষয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক পারভীন আখতারের সাথে কথা বললে তিনি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এদিকে মাদক ব্যবসায়ী বিল্লালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কল ধরেন নি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : বাহাদুর চৌধুরী মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭
সহসম্পাদক : মেহেদী হাসান হৃদয় মোবাইল:০১৬১০০৯৩৬২২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যলয়ঃ চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান বাজার, চরফ্যাশন, ভোলা ।
মোবাইলঃ০১৩২৩০০২৩৭৭ ইমেইলঃ mh01610093622@gmail.com T.L.No:183 T.I.N:534926870539