পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি

মুখের অড়ালে মুখোশ যার নাম আলহাজ্ব আব্দুল হক। চতুর এই লোকের রয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাথে আতাত করে নানান অপকর্ম ও অনিয়মের পায়তারা। যিনি বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাথে আতাত ও অর্থের মাধ্যমে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান বনে যান। এলাকাবাসী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ বর্তমান সময়ে তিনি আওয়ামী দোসরদের পক্ষে দেশে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামীলীগকে সংঘটিত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে তাদের সমমনা ও আওয়ামী দোসরদের নিয়ে গোপন বৈঠক সহ নানান পরিকল্পনা ও কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ জনগন বিভ্রান্ত ও এলাকায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

গত ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজ ছাত্রদলের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা ও তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের নান্দুহার এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও প্রচারনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে একদল আওয়ামী সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রায় ৩০/৩৫ জন মিলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক এবং মনিরুলের নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালায় এবং তাদের সাথে থাকা মোটরবাইক ভাংচুর করে। এতে সরকারী স্বরুপকাঠী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য মোঃ সিফাত আকন, মোঃ ওহি ও তাদের অন্যান্য আরো কয়েকজন নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়।

এ বিষয়ে সোমবার ২০ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নেতাকর্মীরা উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এই নাশকতা ও হামলার প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিহাদ আকন, সদস্য মোঃ সিফাত আকন, সদস্য মোঃ ওহি সহ ছাত্রসংসদের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা জানান, ঘটনার পর গত ১৮ অক্টোবর নেছারাবাদ থানার ইনচার্জ বরাবর আট জনের নাম উল্লেখ পূর্বক (আব্দুল হক ৬৩, মোঃ মনিরুল ইসলাম ৫৭, মোঃ হাসানাত মাস্টার ৩৮, মোঃ ছগির আকন ৫০, মোঃ ওয়াহিদ ৪৫, মোঃ আকাশ মোল্লা ৩২, মোঃ রিয়াদ আকন, মোঃ ওমর আলী সহ অজ্ঞ্যাত আরো ৩০/৩৫ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বনি আমিন বলেন, গত ১৮ অক্টোবর সহিংসতার একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।