সোহেল রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার
রবিবার (১২ অক্টোবর ২০২৫) পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদী থেকে প্রায় দেড় হাজার মিটার (১৫ টি) অবৈধ কারেন্ট জাল সহ এক জেলেকে নদীতে ইলিশ মাছ ধরা অবস্থায় আটক করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী মোঃ রানা মোল্লা, পিতা আব্দুর রব মোল্লা, গ্রামঃ কুনিয়ারী। আটককৃত জেলে রানা মোল্লাকে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৪ (ক) অপরাধ ধারায় শাস্তি স্বরূপ ৩ হাজার নগদ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং তার কাছ থেকে জব্দকৃত দেড় হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দকৃত প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় হযরত ওসমান বিন-আফফান মাদ্রাসা ও এতিমখানাকে প্রদান করা হয়।
ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারিয়া কনকের নেতৃত্বে এবং নেছারাবাদ থানার এএসআই কাজী ইউসুফ সহ নৌ পুলিশের তৎপরতায় অভিধানটি পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় মাছ ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ঘোষিত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সমুদ্র উপকূল ও অভ্যন্তরীণ নদ- নদীতে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও ক্রয় বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়।
আর যারা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে - ১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা। জব্দ করা হবে মাছ, জাল, নৌকা ও যানবাহন।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সরকারি সহায়তা হিসেবে জেলেদের জন্য রয়েছে প্রতি জেলেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিজিএফ চাল বরাদ্দ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
* ইলিশ শুধু একটি মাছ নয়- এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার প্রতীক।
* এই ২২ দিন আমাদের সামান্য সহনশীলতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, যেন আগামী দিনে নদীতে ফিরে আসে রূপালী স্বপ্নের ঝাঁক।
"মা ইলিশ বাঁচান - আগামীর ইলিশ নিশ্চিত করুন"।
প্রকাশক ও সম্পাদক : বাহাদুর চৌধুরী মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭
সহসম্পাদক : মেহেদী হাসান হৃদয় মোবাইল:০১৬১০০৯৩৬২২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যলয়ঃ চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান বাজার, চরফ্যাশন, ভোলা ।
মোবাইলঃ০১৩২৩০০২৩৭৭ ইমেইলঃ mh01610093622@gmail.com T.L.No:183 T.I.N:534926870539