ফারুক আহমেদ, ব্যাসিক নিউজ ২৪, বার্তা সম্পাদক : অনিয়মের অভিযোগে নাকোল রাইচরণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
বর্তমান প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল মান্নানের সময়কালে ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চুড়ান্ত হিসাব: বিদ্যালয়ের ক্যাশবহিতে প্রাপ্ত আয় তেত্রিশ লাখ ষাট হাজার তিনশত এক টাকা। এর মধ্যে ডিসেম্বর (২০২৪) পর্যন্ত আয় তেইশ লাখ উনত্রিশ হাজার নয়শত টাকা। যার মধ্যে ব্যাংকে জমা দেখানো হয়েছে নয় লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার আট শত আঠার টাকা। বাকী তেরো লাখ চুরানব্বই হাজার বিরাশি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়নি। ২০২৫ সালে জানুয়ারী এবং ফেব্রুয়ারী দুই মাসে মোট আয় হয়েছে (ক্যাশবহি হতে প্রাপ্ত) দশ লাখ ত্রিশ হাজার চারশত এক টাকা। যার মধ্যে কোন টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের আয়কৃত তেত্রিশ লাখ ষাট হাজার তিনশত এক টাকার মধ্যে ব্যাংকে জমা নয় লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার আটশত আঠার টাকা। অবশিষ্ট চব্বিশ লাখ চব্বিশ হাজার চারশত তিরাশি টাকা তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকে জমাকৃত টাকা সহ মোট তেত্রিশ লাখ ষাট হাজার তিনশত এক টাকা বর্তমান প্রধান শিক্ষক কর্মচারীদের কয়েক মাসের বেতন, বিভিন্ন ধরনের অনুমোদন বিহীন, স্বাক্ষর বিহীন এবং সৃজনকৃত ভাউচার দিয়ে ব্যয় দেখিয়েছেন বলে তথ্যসূত্রে জানা গেছে ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের নামে মামলা থাকলেও বর্তমান প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের আয়কৃত টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের নামে মামলা দেখিয়ে মামলা পরিচালনা করে আসছেন। এমন কি কোন কোন মাসে দুই বা তার অধিক বার প্রয়োজনের অধিক পরিমান টাকার ভাউচার দেখিয়েছেন।
২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরনী থেকে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের যে সকল উপবৃত্তি ফান্ড রয়েছে সে গুলোর লভ্যাংশ দিয়ে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি দিতে হবে। কিন্তু ব্যাংক স্টেটমেন্ট হতে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ১০ জুন উপবৃত্তির ফান্ড থেকে বিদ্যালয়ের হিসাব নং-০৪৮৭৩৪০০০০২৫ এ এক লাখ চার হাজার দুই শত টাকা স্থানান্তর করা হয়। এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের উপবৃত্তির টাকা কোন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রদান করা হয়নি বলে অভিযোগ জানা গেছে। অতীতে উপ বৃত্তির গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রদানের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
আর্থিক অনিয়ম এবং বিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগে মাগুরার নাকোল রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আবদুল মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুনীর হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
৩ আগস্ট রবিবার বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন।
বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শেখ আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে— ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে নগদ অর্থ হাতে রেখে ব্যয় করা, অর্থ আত্মসাৎ ও তছরুপ, শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা না দিয়ে খরচ করা, প্রশাসনিক দায়িত্বে অবহেলা এবং বিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যর্থতা। এসব অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। এর প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, সে বিষয়ে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পূর্বে ফিরে যায়, মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ৪কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সংবাদ দাতাঃ মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন নাকোল রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ম্যানেজিং কমিটি এবং প্রধান শিক্ষক প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্নসাত করেছেন বলে অভিযোগ জানা গেছে। তাদের কাছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের এডহক কমিটি বার বার হিসেব দিতে বললে তারা কর্ণপাত করছেননা। পতিত সরকারের আমলে উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিদ্যালয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ছিলেন। তাদের নিকট বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী এবং অভিভাবকরা জিম্মি ছিলেন। ভেঙে পড়েছিল বিদ্যালয়ের নিয়মনীতি সহ সব ধরনের অবকাঠামো। প্রাক্তন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হুমাইনুর রশিদ মুহিত, সদস্য বাবু সুব্রত কুমার বিশ্বাস ও প্রধান শিক্ষক (প্রাক্তন) এ. এস. এম. রফিকুল আলা সংঘবদ্ধভাবে বিদ্যালয়ের তিন কোটি ৬৫ লাখ এক হাজার ৬শত একত্রিশ টাকা আত্নসাত করেছেন এবং বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল মান্নান যোগদানের ১১ মাসের মধ্যে ২৪ লাখ ২৪ হাজার চারশত ৮৩ টাকা আত্নসাত ও ছাত্রদের ২০২৪ সালের উপবৃত্তির এক লাখ চার হাজার দুইশত টাকা তসরূপ করেছেন। অভিযুক্তদের প্রয়োজনীয় শাস্তি ও প্রতিষ্ঠানের আত্মসাৎকৃত টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান (দুদক) এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নাকোল রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসেন। এছাড়াও পরিচালক পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, জেলা প্রশাসক, মাগুরা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
জানা যায়, ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারীতে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট করার কথা। দীর্ঘ দের যুগে বিদ্যালয়ে কোন অভ্যন্তরীণ অডিট হয়নি। কিন্তু অডিট সম্পন্ন করার জন্য গঠিত অডিট কমিটির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল মান্নানকে বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি দেননি। কাগজপত্র না দেওয়ার কারনে ১১ মার্চ প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল মান্নানকে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করা হয়।
আবেদন দেওয়ার একমাস পর ১২ এপ্রিল আংশিক কাগজপত্র দেয়। সেখানে টেন্ডার বা দরপত্রবিহীন ১০৮ (একশত আট) টি নতুন নির্মাণ দোকান ঘরের কোন চুক্তিপত্রের কপি তিনি পরিচালনা
প্রকাশক ও সম্পাদক : বাহাদুর চৌধুরী মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭
সহসম্পাদক : মেহেদী হাসান হৃদয় মোবাইল:০১৬১০০৯৩৬২২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যলয়ঃ চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান বাজার, চরফ্যাশন, ভোলা ।
মোবাইলঃ০১৩২৩০০২৩৭৭ ইমেইলঃ mh01610093622@gmail.com T.L.No:183 T.I.N:534926870539