মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৪ নং বটতৈল ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুনের বিরুদ্ধে,
হাজারো অসহায় মানুষের কাছ থেকে,হাজার,হাজার টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আমরা অনুসন্ধানে এলাকা ঘুরে তদন্ত সাপেক্ষে জানতে পেরেছি,গরিব অসহায় মহিলা ও পুরুষ দের কাছ থেকে, শিল্পী খাতুন,বিভিন্ন কায়দা কৌশলে ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে
এলাকার গণ্যমান্য বিচারক দের নাম করেও হাতিয়ে নিয়েছেন,লক্ষ লক্ষ টাকা।
কেউ দিয়েছেন ১০ হাজার,২০ হাজার,৭ হাজার, ৫ হাজার, ৩ হাজার, ২ হাজার,৮ হাজার, কেউবা দিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা।
এভাবে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাবেক ইউপি মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুন।
যে সব বিষয়ে টাকা গুলো নিয়েছেন,বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,মাতৃ কালীন ভাতা,টি,সি,বি কার্ড,জমি সংক্রান্ত বিষয়,সালিশি মীমাংসা করন,টিউবয়েল দেওয়ার কথা বলে,ইত্যাদি,ইত্যাদি বিষয়ে টাকা নিয়েছেন শিল্পী খাতুন।
অসহায় নারী ও পুরুষেরা,শিল্পী খাতুনের চতুরী কথায় ভুলে অসহায়ত্ব দূর করার জন্য,শিল্পী খাতুনের হাতে,তুলে দিয়েছেন টাকা,ধার করে লোন তুলে,এমনটি ভুক্ত ভোগীরা আমাদের কে জানিয়েছেন।
আমরা ভুক্ত ভোগীদের আংশিক ভিডিও ফুটেজ নিতে সক্ষম হয়েছি। অসহায় মানুষের মধ্যে ক্যামেরার সামনে বিষয় গুলো উপস্থাপনা করতে গিয়ে কেউ কেউ কান্নাই ভেঙ্গে পড়ে।
ভুক্ত ভুগিরা বলেন শিল্পী খাতুন টাকা নেয়ার পরে,দিনের পর দিন,আমাদের কে ঘোরা তে থাকে,কোন কাজ না হওয়াই টাকা ফেরত চাইতে গেলে,মারতে আসে।
কেউ কেউ আবার মারও খেয়েছেন,শিল্পী খাতুন বলেন টাকা নিয়েছি তার প্রমাণ কোথায়।
৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বর্তমান মহিলা সদস্য,মনিকা (ময়না) ও ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি পুরুষ সদস্য সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল) কে,ভুক্ত ভোগীরা বিষয়টি অবগত করলে,সাবেক মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুনের বিষয়টি, বর্তমান ৫ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য কাজল এলাকার সামাজিক মন্ডল মাতব্বর দেরকে অবগত করে।
মন্ডল মাতব্বররা বর্তমান ইউপি মহিলা সদস্য, মনিক
(ময়না) ও ইউপি পুরুষ সদস্য সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল)কে,একটি গ্রাম্য সালিশ ডাকার পরামর্শ দেন।
বর্তমান ইউপি সদস্য,মনিকা(ময়না) ও সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল) তাং ২১-৬-২০২৫ ইং শনিবার বৈকাল ৪ ঘটিকার সময় সালিশের দিল ধার্য করলে,ইউপি সদস্য,সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল)উক্ত সালিশের দিন তারিখ ও সময়,শিল্পী খাতুন কে অবগতি করেন।
উক্ত দিনে,উক্ত সময়ে, সালিশের কার্যক্রম শুরু হয়, সালিশের সময় অতি বাহিত হলে,শিল্পী খাতুন সালিশে উপস্থিত না হওয়ায়,বর্তমান ইউপি সদস্য, সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল)নিজেই শিল্পী খাতুনের বাড়িতে গিয়ে শিল্পী খাতুন কে সালিশে আসার কথা বললে।
শিল্পী খাতুন সালিশে আসতে রাজি না হওয়ায়, ইউপি সদস্য, সৈয়দ আবে দুজ্জামান (কাজল)রিক্ত হস্তে শিল্পী খাতুন এর বাড়ি থেকে ফিরে আসেন।
সালিশে বসে থাকা সামাজিক ও গ্রাম্য মন্ডল মাতব্বর দের বিষয়টি অবগত করে।
গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে ভুক্ত ভোগীরা এক এক করে সাবেক ইউপি মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুনের বিষয় গুলো ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন।
এই প্রতারক শিল্পী খাতুন এখন পর্যন্ত অসহায় গরিব দুঃখী মানুষ দের সাথে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী ও ভুক্ত ভোগী গন, সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য শিল্পী খাতুন কে, আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা এবং গরীব-দুঃখী অসহায় ভুক্ত ভোগীদের টাকা গুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : বাহাদুর চৌধুরী মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭
সহসম্পাদক : মেহেদী হাসান হৃদয় মোবাইল:০১৬১০০৯৩৬২২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যলয়ঃ চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান বাজার, চরফ্যাশন, ভোলা ।
মোবাইলঃ০১৩২৩০০২৩৭৭ ইমেইলঃ mh01610093622@gmail.com T.L.No:183 T.I.N:534926870539