মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।

জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার ১৬ জুন সকাল ১১ টার সময় লালন টিভি ২৪ এর অস্থায়ী কার্যালয় ৬ রাস্তার মোড় কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শামসুল আলম স্বপন, সভাপতি জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখা। অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সবুজ, সিনিয়র সহ -সভাপতি, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখা। খন্দকার মোঃ রিপন, সহ-সভাপতি, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখা। নজরুল ইসলাম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখা। মো.সেলিম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখা।সোহেল খন্দকার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখা।সাইফুল ইসলাম তন্ময়, যুগ্ম সাধারণ, সম্পাদক,জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখা। মোঃ শামীম রেজা, কোষাধ্যক্ষ, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখা।আরো উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দু। জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়ার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দোষররা এখনো দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে মিডিয়ায় ওই সব ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের মধ্যে গণতন্ত্র নৎস্যাত করতে নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্ট দোষরা সুকৌশলে এখনো তাদের মিডিয়া বিএনপির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তাই আসুন ওই সব ফ্যাসিস্ট দোষরদের বিরুদ্ধে ঔক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করি। সংগঠনের সভাপতি সামছুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুকুল, সহ সভাপতি এ্যাডঃ রফিকুল ইসলাম সবুজ, সংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মাহামুদ, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাঃ বকুল আলী, সাইফুল ইসলাম, দৈনিক স্বর্ণযুগ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার রিপন, সোহেল খন্দকার, বাহারুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালে তৎকালিন স্বৈরাশাষক শেখ মজিবুর রহমান বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। ৪টি পত্রিকা বাদে দেশের ২২২ টি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে সংবাদপত্রে গলা টিপে হত্যা করেছিল। ফলে সংবাদপত্রের সাথে জড়িত হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়ে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। তাঁর এই মহতি উদ্যোগের কারনেই আজ আমরা অবাধে সংবাদ পত্রের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করতে পারছি। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার জালেম শেখ হাসিনা তিনিও সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ফিন্দি ফিকির করেছিল। বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল আমার দেশ, দিনকাল, সংগ্রামসহ দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, সিএসবি নিউজ, চ্যানেল ওয়ানসহ অগনিত মিডিয়া। যে সমস্ত মিডিয়া চালু রাখা হয়েছিল ওই সমস্ত মিডিয়া গুলো স্বৈরাচারের কথামত সংবাদ প্রচার করে দেশের মধ্যে এক অস্থিতিশিল পরিবেশের সৃষ্টি করে। বক্তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম কুষ্টিয়া সব সময় মনে করেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরা ন্যায় ও উন্নয়নের পক্ষে কাজ করি। কেউ যদি অন্যায় ভাবে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে হেউ করার কাজে লিপ্ত থাকেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পীচ পা হবে না। বক্তারা আরো বলেন, এখনো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে খোকসা পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হানিফ আতার দোষর মিডিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা এখন আবার নব্য বিএনপি সেজে বিভিন্ন জায়গায় নিজেদেরকে পরিচয় দিয়ে স্বর্থ সিদ্ধি করতে ব্যস্ত রয়েছেন। এসব হানিফ আতার দোষরদের সাথে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই। জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম একমাত্র সমমাননা সংগঠন। তাই আপনারা হানিফ আতার দোষর হয়ে তাদের পক্ষে না থেকে আপনারা বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশ করে জনগনের কল্যানে এগিয়ে আসুন। কারণ আপনাদের ভুল হিংসার্থ লেখনির মাধমে যেমন দেশের ক্ষতি তেমনি দলের ক্ষতি হবে। জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম বস্তুনিন্ঠ সংবাদ পরিবেশ করে দল ও জনগনের পাশে আছে এবং থাকবে।