মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়া জেলায় গত দুই দিন ধরে তীব্র গরমের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার তাপমাত্রা ক্রমাগত উর্ধ্বমুখী, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে জনসাধারণ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।
সকাল থেকেই প্রখর রোদের দাপট, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ, রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ নাগরিক এবং শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন ও উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতা নিয়ে রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুধু গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত শতাধিক রোগীকে এ ধরনের সমস্যায় ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. হাসানুজ্জামান জানান, “তীব্র গরমের কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বেশিরভাগই পানিশূন্যতা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত।”
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন—এই অবস্থায় সবাইকে দিনের বেলা রোদে কম বের হওয়ার, বেশি করে পানি ও তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের এবং সানশেড বা ছাতা ব্যবহার করে চলাফেরার জন্য। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে এবং চিকিৎসা সেবা জোরদার করা হয়েছে। তবে চলমান এই তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক বৃষ্টি ছাড়া আর কোনো তাত্ক্ষণিক সমাধান নেই বলে মনে করছেন অনেকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com